বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ল্যাবরেটরী স্কেলে পাটের বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে পাট আঁশের উৎকর্ষ সাধন করাই রসায়ন বিভাগের মূল উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্যকেই সামনে রেখে রসায়ন বিভাগকে চারটি ডিপার্টমেন্টে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো:
রসায়ন বিভাগ
রসায়ন বিভাগ ( শাখা অনুযায়ী জনবল)
মোট= ০৩ জন
ফাইবার কেমিষ্ট্রি শাখা
ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিষ্ট্রি শাখা
ডাইং শাখা
প্রিন্টিং শাখা
রসায়ন বিভাগের বিভিন্ন শাখার গবেষণার উদ্দেশ্য:
ফাইবার কেমিষ্ট্রি শাখা
১। জুট ফাইবার এর বেসিক কেমিক্যাল এনালাইসিস করার মাধ্যমে পাটের গুনগুন মান নির্ধারন করা সম্ভব হয় যা গবেষণা কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
২। জুট ফাইবার থেকে সেলোলুজ এক্সট্রাক করে মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ (MCC), ন্যানো সেলুলোজ, বিভিন্ন সেলুলোজ ডেরিভেটিভ (কার্বোক্সিমিথাইল সেলুলোজ, সেলুলোজ এসিটেড) তৈরী করা হয় যা খুবই দামী (costly) জুট প্রডাক্ট।
৩। কেমিক্যাল বেস্ড গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে বর্তমানে জুট কম্পোজিটের উপর গবেষণা চলছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিষ্ট্রি শাখা
১। পরিবেশ বান্ধব পাটের বহুমূখী পাট পন্য উৎপাদনের লক্ষ্যে পাট আঁশকে রাসায়নিক পদ্ধতিতে upgrade করার টেকনোলজি উদ্ভাবন করা যা পরবর্তীতে লার্জ স্কেলে ব্যবহার হবে।
২। সার্বিক তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে পাট পণ্যের “অগ্নিনিরোধক”, “পানি নিরোধক”, “পচন নিরোধক” ইত্যাদি ফিনিসিং পদ্ধতির দ্বারা গুনগত উন্নয়ন সাধন করা।
৩। রাসায়নিক মডিফিকেশনের দ্বারা পাট আঁশের physico-chemical and physico-mechanical properties উন্নয়নের মাধ্যমে তুলা ও অন্যান্য আঁশের সাথে বেস্নন্ড করে বহুমূখী পাট পন্য উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি করা।
ডাইং শাখার উদ্দেশ্য ঃ
১। পাটের উপযোগী রং করার প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সার্বিক গবেষণা কার্যক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
২। মূল্য সংযোজিত আকর্ষণীয় পাটজাত পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে পাট আঁশ, পাট সুতা এবং পাটের ফেব্রিককে প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম রং এর সাহায্যে রং করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা।
৩। বহুমূখী পাট পণ্য উৎপাদনের সাথে যুক্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে পাটের বিভিন্ন কারিগরী বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশের দারিদ্র বিমোচনকল্পে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
প্রিন্টিং ডিপার্টমেন্ট :
১। আর্কষনীয় পাটপণ্য তৈরীর জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী রং ব্যবহার করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জুট ফেব্রিক এর উপর রকমারী প্রিন্টের দ্বারা ব্যবহার উপযোগী করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা।
২। প্রয়োজনীয় প্রিন্টিং এর মাধ্যমে পাট পন্যের বহুমূখী ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সার্বিক সহায়তা প্রদান করা যা দেশ ও বিদেশে বিপননের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
৩। বর্তমানে প্রাকৃতিক রং এবং প্রাকৃতিক থিকেনার ব্যবহার করে গবেষণা কার্যক্রম চলছে।