Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পাট ও পাট জাতীয় ফসল চাষে প্রতি পক্ষে (০১ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত) সময়ে করণীয় সম্পর্কিত তথ্য


প্রকাশন তারিখ : 2024-02-20

 

পাট ও পাট জাতীয় ফসল চাষে প্রতি পক্ষে (০১ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত) সময়ে করণীয় সম্পর্কিত তথ্য

 

চারা পাটগাছের যত্ন নিন

  • প্রথম অবসহায় চারা পাট গাছ খুবই দূর্বল থাকে। যাতে চারা ভালভাবে বাড়তে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। পাটক্ষেতে নিড়ি দিয়ে আগাছা তুলে ফেলুন।
  • প্রয়োজনমত গাছ রেখে বাকী গাছ নিড়ানী দিয়ে উপড়ে ফেলুন। এতে আগাছা দমনের খরচ অনেকাংশে কমে যাবে।
  • নিড়ী ও বাছাই এর সময় রোগাক্রান্ত গাছগুলি তুলে ফেলুন।

 

পাটের জমিতে উপরি সার প্রয়োগ করুন

  • পাটের জমি নিড়ানী দিয়ে আগাছা মুক্ত করে ডি-১৫৪, সিভিএল-১, সিসি-৪৫, সিভিই-৩, ও-৪ জাতের জন্য হেক্টর প্রতি ফাল্গূনি তোষার জন্য ১০০ কেজি, ওএম-১ জাতের জন্য ৮৮.৫ কেজি, মেস্তার এইচএস-২৪ জাতের জন্য ৫৫ কেজি এবং কেনাফ এইচসি-৯৫ জাতের জন্য ৬৬.৫ কেজি ইউরিয়া সার কিছু পরিমাণ শুকনা মাটির সাথে মিশিয়ে জমিতে উপরি প্রয়োগ করে হো অথবা নিড়ানী যন্ত্রের সাহায্যে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।

 

  • লক্ষ্য রাখতে হবে যেন দ্বিতীয় পর্যায়ে সার প্রয়োগের সময় জমিতে যথেষ্ট পরিমাণে রস থাকে এবং সার যাতে গাছের কচিপাতা এবং ডগায় না লাগে।

 

পাটের জমিতে সেচ ও পানি সরিয়ে দিন

  • প্রয়োজন বুঝে সম্ভব হলে জমিতে হাল্কা সেচ দিন। আবার কোথাও পানি দাঁড়ালে নালা তৈরী করে জমি থেকে পানি সরিয়ে দিন। কারন চারাগাছ পানি সহ্য করতে পারে না।

 

পোকা-মাকড় দমন করুন

  • উড়চুংগাঃ যে সমসত্ম জমিতে প্রায় প্রতি বছর পাট অথবা অন্য ফসলের উড়চুংগা দেখা দেয়, সেই  জমিতে পাট বীজ বপনের পূর্বে জমি শেষবারের মত ভাল করে চাষ দিয়ে প্রতি লিটার পানিতে কীটনাশক ডার্সবার্ন-২০ইসি ৫এমএল মিশিয়ে প্রতি একর পাটের জমিতে প্রয়োগ করম্নন। এরপর নিয়ম মাফিক বীজ বপন করুন।

 

  • যদি ঔষধ প্রয়োগ সম্ভব না হয় তবে বীজের পরিমাণ একটু বাড়িয়ে বপন করা ভাল। যাতে জমিতে যথেষ্ট পরিমাণ চারাগাছ থাকার দারুন উড়চুংগা কিছু গাছ কেটে ফেললেও ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যায়।

 

  • যদি সম্ভব হয় তবে দেরীতে পাট বপন করলে উড়চুংগার আক্রমণ এড়ানো যায়। খরার মৌসুমে উড়চুংগা পোকা চারা পাট গাছের বিশেষ ক্ষতি করে। এ সময় সেচের ব্যবসহা করলে উড়চুংগার উপদ্রব থেকে ফসল রক্ষা করা যায়।

 

  • চেলেপোকাঃ এপ্রিলের মাঝামঝি থেকে (বৈশাখের প্রথম হতে) চারা পাট গাছে এদের আক্রমণ দেখা দেয় এবং তা ফসল কাটা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

 

  • পূর্ণ বয়স্ক পোকা চারা গাছের পাতা ছিদ্র করে খায় এবং চারা গাছের কচি ডগায় ছিদ্র করে ডিম পারে। ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়ে ডগার ভিতরে চলে যায়, ফলে গাছের ডগা মারা যায়।

 

  • দূর থেকে মরা শুকনা ডগা সনাক্ত করা যায়। পরবর্তীতে ঐ সহান থেকে শাখা প্রশাখা বের হয়।

 

  • পাট ক্ষেতের পাশে বনওকড়া গাছ এবং অন্যান্য আগাছা পরিষ্কার রাখলে এ পোকার আক্রনণ কম হয়।

 

  • মৌসুমের প্রথমেই পাটের পরিচর্যার সময় ঐ সকল ডগা আক্রান্ত গাছগুলি তুলে ধ্বংস করতে হবে। এতে পোকার উপদ্রব কমে যাবে।

 

  • গাছের উচ্চতা ১২-১৪ সেন্টিমিটার লম্বা হওয়ার পর চেলে পেকার আক্রমন বেশী হলে কীটনাশক ঔষধ ছিটিয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এক মৌসুমে তিনবার ঔষধ ছিটিয়ে প্রায় সম্পূর্ণরূপে পোকা দমন করা যায়। রিপকর্ড ১০ ইসি, সিমভুস ১০ ইসি ০.৫মিলি অথবা ডায়জিনন ৬০ইসি প্রতি লিটারে ১.৫ মিলি পরিমান মিশিয়ে আক্রান্ত পাট ক্ষেতে ছিটিয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যয়।

 

  • হলুদ বা সাদা মাকড়ঃ এ মাকড় পাট গাছের কচি পাতার উল্টো দিকে বসে পাতার রস চুষে খায়। পাতা  তামাটে রং ধারণ করে। একটানা অনাবৃষ্টির ফলে আক্রমণ ব্যাপক হয়। ক্রমে পাতা ঝরে যায় ও ডগা মরে যায়।
  • হলুদ বা সাদা মাকড়ের আক্রমন দেখা দিলে সাথে সাথে একর প্রতি এমবুস-১.৮ইসি অথবা সানমেকটিন-১.৮ ইসি ১এমএল প্রতি লিটার পানিতে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে মেশিনের সাহায্যে এমনভাবে ছিটাতে হবে যেন ডগার  উপরের কচি পাতাগুলো (১০ম পাতা পর্যমত্ম) ভালভাবে ভিজে যায়।
  • অথবা আধা কেজি  নিম পাতা ১০ কেজি  গরম পানিতে ৫ থেকে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে, ১০ মিনিট পর নিম পাতার নির্যাস ছেকে নিন ও ঠান্ডা করুন। এ নির্যাস উপরোক্ত নিয়মে (ডগার ১০ম পাতা পর্যসত্ম) পাট গাছে ছিটিয়ে হলুদ মাকড় দমন করা যায়।
  • প্রথম বার স্প্রে করার দ্বিতীয় দিন একইভাবে ঔষধ আবার ছিটালে ভাল ফল পাওয়া যায়। মনে রাখতে হবে যে ডগার পাতায়  ঔষধ  ছিটালেই যথেষ্ট।

 

পাটের রোগ দমন করুন

  • চারা অবসহা থেকে শুরম্ন করে পূর্ণ বয়স্ক পর্যমত্ম নানা রকম রোগ পাটগাছকে আক্রমণ করে। সময়মত এদেরকে দমন করতে হবে। পাট গাছে চারা-মড়ক, কান্ড পচা, কালপট্রি, ঢলে পড়া, আগা শুকিয়ে যাওয়া, নরম পচা, শিকড়ে গিটরোগ, হলদে সবুজ পাতা বা ক্লোরোসিস প্রভৃতি রোগ হতে পারে।
  • ক্ষেতে রোগাক্রান্ত গাছ দেখলেই তুলে ফেলতে হবে। তুলে ফেলা রোগাক্রান্ত গাছগুলিকে মাটিতে পুতে অথবা পুড়ে ফেলতে হবে। নইলে এ থেকে রোগ ছড়াবে। রোগ ব্যাপক আকারে দেখা দিলে ডাইথেন-এম ৪৫ প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১৮.৫৬ গ্রাম গুলে ৩-৪ দিন অমত্মর ২-৩ বার জমিতে ছিটাতে হবে। গাছের বয়স অনুসারে প্রতিবার একর প্রতি ৩৫০-৪৫০ লিটার ঔষধ মিশানো পানি ছিটানো যেতে পারে।

 

হলদে সবুজ পাতা বা ক্লেরোসিস

  • এ রোগ এক প্রকার ভাইরাস দ্বারা বিস্তার লাভ করে। আক্রান্ত গাছের বীজের মাধ্যমে, রোগাক্রামত্ম গাছের পরাগের সাহায্যে এবং হোয়ইট ফ্লাই দ্বারা এ রোগ ছড়ায়। রোগ আক্রামত্ম গাছের বীজ বপনের ফলেই এ রোগ বেশী ছড়ায়। চারা অবসহায়ই গাছের পাতায় হলদে সবুজ রং-এর ছাপ দেখা যায়। এ অবসহায় রোগাক্রান্ত গাছগুলি তুলে ফেললে রোগ ছড়াতে পারে না। হোয়াইট ফ্লাই বা সাদা মাছি মারার জন্য ১০ লিটার পানিতে ১৫ মিলি পরিমাণ ডায়াজিনন মিশিয়ে ৩০-৪০ দিন বয়সের গাছে ৭ দিন পর ২-৩ বার ছিটাতে হবে। এতে রোগের ব্যাপকতা অনেকটা কমে যাবে।

 

  • কোন কোন স্বল্প আক্রান্ত গাছ সুসহ্য গাছের মতই বেড়ে ওঠে এবং রোগের লক্ষণ ঢাকা পড়ে। কিন্তু রুগ্ন-গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করলে পরবর্তী ফসলে আবার রোগ দেখা দেয়। এর প্রতিকারের উপায় হচ্ছে বীজ পাটের  জমি থেকে ফুল আসা পর্যন্ত আক্রান্ত গাছ দেখা মাত্রই তুলে ফেলতে হবে। কারণ বেশী বড় হলে অনেক সময় সুসহ গাছ থেকে আক্রান্ত গাছ পৃথক করা যায় না। কাজেই ভুলক্রমে আক্রান্ত গাছের বীজ সংগ্রহের সম্ভাবনা থাকে এবং এভাবেই প্রতি বছর আক্রান্ত গাছের সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে পাটের ফলন কমে যায়।

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon