ক) ভূমিকাঃ
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) এর মেকানিক্যাল প্রসেসিং বিভাগ পাটের যান্ত্রিক প্রক্রিয়াজাতকরন কাজের সাথে জড়িত। তাছাড়া এই বিভাগ বিভিন্ন মেশিনারী উদ্ভাবন ও উন্নয়ন কাজ সহ বহুমুখী পাটজাতীয় পন্য উৎপাদন এবং এর বহুমুখী ব্যবহার কাজের সহিত জড়িত। এই বিভাগ তিনটি শাখার সমন্বয়ে গঠিত। এগুলো হলো-
ভালো মানের পাটের সূতা ও কাপড় উৎপাদনের লক্ষ্যে স্পীনিং এবং উইভিং শাখার গবেষণাগারে প্রযুক্তি/প্রসেস উদ্ভাবন করা হয়। তাছাড়া এই বিভাগ বিভিন্ন প্রকার জুট মেশিনারী উদ্ভাবন ও উন্নয়ন কাজ সহ জুট টেক্সটাইল মেশিনারীর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে থাকেন। এরই মধ্যে এই বিভাগ বেশ কয়েক প্রকার পাট প্রসেসিং প্রক্রিয়া এবং মেশিনপত্রের উন্নয়ন সাধন করেছে। এগুলোর বেশির ভাগই বাংলাদেশ সরকারের পেটেন্ট অধিদপ্তর কর্তৃক স্বীকৃত।
উদ্দেশ্যঃ
মেকানিক্যাল প্রসেসিং বিভাগ
স্পীনিং শাখাঃ
উইভিং শাখাঃ
মেশিনারী ডেভ: এন্ড মেইনটেনেন্স শাখাঃ
মেকানিক্যাল প্রসেসিং বিভাগের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
অনুমোদিত জনবল: মোট ৩৭ জন |
কর্মরত জনবল: মোট ২৯ জন |
মেকানিক্যাল প্রসেসিং বিভাগ
মোট = ০৩ জন |
মেকানিক্যাল প্রসেসিং বিভাগ
মোট = ০২ জন
|
স্পীনিং শাখা
মোট = ১৫ জন |
স্পীনিং শাখা
মোট = ১২ জন
|
উইভিং শাখা
মোট = ০৯ জন |
উইভিং শাখা
মোট = ০৭ জন
|
মেশিনারী ডেভেলপমেন্ট এন্ড মেইনটেনেন্স শাখা
মোট = ১০ জন |
মেশিনারী ডেভেলপমেন্ট এন্ড মেইনটেনেন্স শাখা
মোট = ৭ জন
|
শূণ্য পদের সংখ্যাঃ ০৯ জন
গ) মানব সম্পদ উন্নয়ন (২০২০-২১ অর্থ বছর) আমাদের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ দেশের অভ্যমত্মরে সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং বিভিন্ন ইন হাউজ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ গ্রহন করেছেন।
ঘ) উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমঃ
ঙ) উন্নয়ন প্রকল্পঃ প্রযোজ্য নয়
চ) অন্যান্য বিশেষ অর্জনঃ
Patent Registered: 04
ছ) উল্লেখযোগ্য সাফল্যঃ
ক্রমিক নং |
প্রযুক্তির নাম |
গুনাগুন বৈশিষ্ট্য |
১ |
নভোটেক্স ফারনিশিং ফেব্রিক |
তুলা, পশম এবং কৃত্রিম আঁশের সহিত পাট আঁশ ব্যবহার করে নভোটেক্স কাপড় কৈরী করা হয়েছে। উৎপাদিত নভোটেক্স কাপড় গৃহসজ্জার কাপড় যেমন-দরজা ও জানালার পর্দা, বেড কভার, ওয়াল কভার, টেবির ক্লথ, মোটর গাড়ি, সোফা এবং চেয়ারের আচ্ছাদন ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যাবে। |
২ |
নভোটেক্স কম্বল |
শুধু পাট এবং পাট আঁশের সঙ্গে ১০% এবং ২০% এক্রালিক মিশ্রনে নভেটেক্স কম্বল প্রস্ত্তত করা হয়েছে যার রং পাকা এবং তাপ ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন। |
৩ |
নিম্নমানের পাটের মানোন্নয়ন |
বাংলাদেশ উৎপন্ন পাটের ২৪-৪০ শতাংশ নিম্নমানের হয়ে থাকে যা ব্যবহার করা যায় না। এনজাইম ব্যবহারের মাধ্যমে অল্প খরচে এই পাটের মানোন্নয়ন করে পাট জাত পন্য উৎপাদনে ব্যবহার করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। |
৪ |
পাট থেকে উন্নত মানের জায়নামাজ |
পাট থেকে স্বল্প মূল্যে তৈরী জায়নামাজ যাহা তুলা ও কৃত্রিম আঁশের জায়নামাজের বিকল্প হিসাবে ব্যবহারযোগ্য। |
৫ |
স্পিনিং মেশিন অপটিমাইজেশন |
প্রচলিত মেশিন মানোন্নয়ন করে চিকন সূতা তৈরী করা হয়েছে। যা ব্যবহার করে উন্নত মানের বিভিন্ন পাট বস্ত্র তৈরী করা যায়। |
৬ |
জুট ফেল্ট উদ্ভাবন |
পাট ও নিম্নমানের পাট থেকে জুট ফেল্ট প্রস্ত্ততের পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। যা থার্মাল ইনসুলেটিং, শব্দ শোষন, বৈদ্যুতিক ইনসুলেটিং, ওয়াল কভারিং হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। |
৭ |
চিকন সূতা |
পাটজাত দ্রব্যের বহুমূখী ব্যবহার, রপ্তানীযোগ্য পাটজাত পন্য উৎপাদনের লক্ষ্যে হালকা পাটবস্ত্র তৈরীর নিমিত্তে চিকন সূতা (১১০ টেক্স) উৎপাদনের পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। |
৮ |
অগ্নিরোধী পাট ও পাটজাত বস্ত্র উৎপাদন |
সাধারণভাবে পাট আঁশ একটি দাহ্য পদার্থ। তাই ইহার ব্যবহার কিছুটা ঝুকিপূর্ণ। রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট এর মাধ্যমে পাট আঁশ এবং বস্ত্রকে অগ্নীরোধী করা সম্ভব হয়েছে। উক্ত পাট আঁশ দিয়ে গাড়ীর বডি, ইনসুলেটিং পদার্থ, ম্যাট্রেস, পার্টিশন ওয়াল ইত্যাদি তৈরী করতে ব্যবহৃত হয়। |
৯ |
স্বল্প ব্যয়ে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পাটের ব্যাগ তৈরি |
পরিবেশ দূষনকারী পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পাটের ব্যাগ তৈরি পদ্ধতির উদ্ভাবন করা হয়েছে। প্রায় ৩০০ ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। |
১০ |
প্রচলিত পদ্ধতিতে পাটের সঙ্গে অন্যান্য আঁশের সংমিশ্রনে সূতা তৈরীর পদ্ধতি উদ্ভাবন। |
পাটের সঙ্গে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম আঁশের প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বিভিন্ন মানের বেন্ডেড সূতা তৈরী করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|